মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে গোটা রাজ্যব্যাপী জারি হল ১১ দফা নির্দেশিকা, ইতিমধ্যে জানিয়ে দিল ভবানী ভবন। পশ্চিমবঙ্গের একজন বাসিন্দা হিসাবে এই নির্দেশিকা গুলি আপনার অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেড়েছেন। এরপর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গণপিটুনি এবং ডাকাতির ঘটনাকে রুখতে ১১ দফা নির্দেশিকা ঘোষণা করেছেন। এই নির্দেশিকা গুলি পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটা জেলার জন্য এবং প্রতিটা নাগরিকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটা নাগরিকের সমস্যা সমাধানের জন্য। এই নির্দেশিকা গুলি রাজ্যের পুলিশ অফিসার থেকে পুলিশকর্মী সকলকে মেনে চলতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের জারি হল ১১ দফা নির্দেশিকা কি রয়েছে এই নির্দেশিকাতে জেনে নিন
(১) প্রথমে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যব্যাপী গণপিটুনির ঘটনা বেড়ে গিয়েছে আর এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে যেগুলি সকল পুলিশ অফিসারদের মেনে চলতে হবে।
কাজের খবর: বাড়িতে বসে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করুন ১০০% নিশ্চিত।
(২) যেকোনো খবর সংগ্রহ করার জন্য রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিশ গুলোকে আরো ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে যাতে পুলিশের কাজ আরো সহজ হয়।
(৩) সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও বেশি করে সচেতনতা প্রচার চালিয়ে যেতে হবে।
(৪) এ ব্যাপারে পুলিশ স্থানীয় ক্লাবগুলিকে কাজে লাগাতে পারে সেখানকার খবর সংগ্রহ করার জন্য।
(৫) সমাজ মাধ্যমে গুজবজাতের ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখতে হবে। অনেক জায়গায় গণপিটুনির গুজব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাচ্ছে তারপরে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। এটাকে আটকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
(৬) সোশ্যাল মিডিয়ায় বা সমাজ মাধ্যমে নজরদারি বাড়াতে হবে, যারা গুজব রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।
আরও পড়ুন: যুবশ্রী প্রকল্পের নতুন লিস্ট ২০২৪ প্রকাশিত আপনার নাম চেক করুন।
(৭) রাজ্যের অনেক জায়গায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এ ধরনের ঘটনাতে ডাকাতগুলোকে ধরার জন্য সঠিক তথ্য জোগাড় করতে হবে। এর জন্য বিহার ও ঝারখন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে যাতে করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে সঠিক খবর সংগ্রহ করা যায়।
(৮) ডাকাত দলদের মধ্যে যারা ধরা পড়েছে, তাদের কি বিচার হচ্ছে তারা সাজা পাচ্ছে কিনা, সমস্ত দিকে নজর রাখতে হবে। এছাড়া তাদের সাজা নিশ্চিত করতে হবে।
(৯) গোটা রাজ্যব্যাপী পুলিশের নাকা চেকিং এ আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে।
(১০) রাজ্যে সাম্প্রতিক কিছু খুনের ঘটনাও ঘটেছে যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র বোমা। এ ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বা বোমা যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে তার জন্য এগুলিকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যেতে হবে। রাজ্যের প্রত্যেকটা থানার অফিসারদের এ ব্যাপারে যথেষ্ট সুযোগ থাকতে হবে এবং এর জন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নজরদারের চালাতে হবে।
(১১) রাজ্যের যেকোনো এলাকাতে মহিলাদের সঙ্গে কোন অপরাধ হলে সেটিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে পুলিশকে। এছাড়া জরুরী ভিত্তিতে তার উপর মামলা দায়ের করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।
চাকরির খবর: মাধ্যমিক যোগ্যতায় প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এর আগেই অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছিলেন, কেননা রাজ্যে একের পর এক কোন পিটুনির ঘটনায় পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। একই রকম ভাবে এই ঘটনা ঘটে চলেছে এবং গোয়েন্দারা কেন আগে থেকে এই সমস্ত খবর রাখতে পারছেন না, তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মঙ্গলবার পুলিশকর্তাদের সাথে বৈঠকের পরেই রাজ্যের ভবানী ভগবান থেকে জারি করা হয়েছে এই ১১ দফা নির্দেশিকা। যাতে করে রাজ্যের প্রত্যেকটা পুলিশ অফিসার এবং পুলিশ কর্মীদের আরো সজাগ হতে হবে এবং রাজ্যব্যাপী সমস্ত ধরনের সমস্যা গুলিকে সমাধান করতে হবে।