রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য এবার থেকে আর কাজে ফাঁকি দেওয়ার কোন জায়গা নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে নতুন নিয়ম চালু করে দেয়া হয়েছে আর এই নিয়মগুলো প্রত্যেকটি সরকারি কর্মচারীকে মেনে চলতে হবে। যদি কেউ অমান্য করে তবে তাকে দিতে হবে দশ হাজার টাকা জরিমানা।
সরকারি কর্মচারীদের আসি যাই বেতন পায় এই নিয়ম এখন থেকে আর চলবে না, কোন দপ্তরে কাজে এসে সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় এটি নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবার বিরাট পরিবর্তন নিয়ে এলো। ২০১৩ সালে জনপরিষেবা অধিকার আইন চালু করেছিল রাজ্য সরকার, তখন একটা নিয়ম ছিল কোন সরকারি কর্মচারী গাফিলতি করলে তাকে জরিমানা স্বরূপ এক হাজার টাকা দিতে হতো। তবে এখন থেকে এই জরিমানার পরিমাণটা 10000 টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
এই চলতি আইন অনুযায়ী কোন সরকারি দপ্তরে যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পাই, তবে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারবে। সেখানে অভিযোগ জানিয়ে যদি কোন সমাধান না পাই তবে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ না জানিয়েও সরাসরি কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারবে। এর আগে কমিশন কেবলমাত্র উপদেষ্টা বা নজরদার হিসেবে কাজ করতো, তবে সংশোধিত এই আইনে কমিশনের হাতে প্রশাসনিক ও আইনি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়ার সংস্থান রয়েছে। আর এই জন্য কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
চাকরির খবর: রাজ্য সরকারের বিভিন্ন চাকরির খবর।
বাড়িতে বসে কাজ: বাড়িতে ঘরে বসে কাজ করে প্রতি মাসে ১৫০০০ টাকা বেতন।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সাধারণ মানুষ সরকারের যেসব দপ্তর গুলির সাথে সরাসরি ভাবে জড়িত রয়েছেন তাদেরকে বিশেষ করে গুরুত্ব দিচ্ছে এই জন পরিষেবা অধিকার আইন। জনপরিসেবা অধিকার আইনের আয়তায় রয়েছে যেমন- রেশন কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম মৃত্যু শংসাপত্র, জমির মিউটেশন ইত্যাদি পরিষেবা। তাছাড়া এই আইনের আয়তাতে রয়েছে রাজ্যের সমস্ত পৌরসভার এবং পঞ্চায়েত দপ্তরের বিভিন্ন পরিষেবা।
তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই আইনটিকে সংশোধিত করে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে এবং জন পরিসেবা অধিকার আইন কে আরো ভালো বলবৎ করার এর সাথে সাথে সরকারি কাজে আরও বেশি গতি আনার জন্য তৎপর হয়েছে।