মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) হাত ধরে রাজ্যে আসছে নতুন প্রকল্প। এবার জমি-বাড়ি রেজেস্ট্রি (land registration) করার পর অরিজিনাল দলিল (original deed) সরাসরি বাড়িতে পৌঁছে যাবে কোনো থার্ড পার্টি দালাল ছাড়া। তাই জমি বাড়ি রেজিস্ট্রি করার আগে এই প্রকল্পটি সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নিন আজকের এই প্রতিবেদন থেকে।
জমি বা বাড়ি কেনার পর অরজিনাল দলিল নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে কতটা ছুটো ছুটি করতে হয় এবং কতটা হয়রানির শিকার হতে হয় সেটা বহু মানুষই জানেন। তবে এবার শীঘ্রই এই হয়রানির হাত থেকে রেহাই মিলতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের(WB government) উদ্যোগে ‘দুয়ারে দলিল’ প্রকল্পের মধ্যদিয়ে। এবার সম্পত্তি কেনার পর দলিলের জন্য আর ছুটে বেড়াতে হবে না রেজিস্ট্রি অফিসে। আপনার দলিল ডাকযোগে সরাসরি (direct by post)আপনার বাড়িতে পৌঁছে দেবে সরকারি দপ্তর থেকে।
বর্তমানে দলিলের সার্টিফাইড কপি(certified copy) পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করলেই পাওয়া যায়। তবে অরিজিনাল বা মূল দলিল পেতে হলে আইজিআর রশিদ(igr acknowledgement) কঁপি নিয়ে ক্রেতাকে রেজিস্ট্রি অফিসে অবশ্যই যেতে হয়। এবং সেখানে গিয়ে অনেক দালালের খপ্পরে পড়িতে হয় এবং টাকা দিয়ে মহরি বা উকিলদের দিয়ে দলিল তোলাতে হয়। সঠিক সময়ের মধ্যে হয়তো দলিল পাওয়াও যায় না এর জন্য দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তবে এবার জমি বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের আইন কানুন ঘেঁটে আধিকারিকরা দেখেছেন এই পরিষেবা বাংলায় চালু করা সম্ভব।
চাকরির খবর: রাজ্যে মাধ্যমিক পাশে চাকরির আবেদন চলছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, কাজে শুরু হতে চলেছে নতুন একটি প্রকল্প তার নাম ‘দুয়ারে দলিল’ (duare dolil/dalil) প্রকল্প। শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেন (Spain country travel) সফর থেকে ফিরলে ই এই প্রকল্পের উপর চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা।
তবে নতুন এই পরিষেবাটি চালু হবার পরেও কিছুদিন পর্যন্ত রেজিস্ট্রি অফিস থেকে হাতে হাতে দলিল তোলার ব্যবস্থা থাকবে। ধীরে ধীরে অফলাইনের দলিল তোলার ব্যবস্থাটি বন্ধ করে দেয়া হবে। এবং অনলাইনে অর্থাৎ রেজিস্ট্রি করার সময় যে ঠিকানাটি দেবেন সেই ঠিকানাতে অরিজিনাল দলিল পৌঁছে যাবে ডাক যোগের মাধ্যমে।
এক আধিকারিক জানান এই পদ্ধতি চালু করতে কি ধরনের পরিকাঠামু বা লজিস্টিক দরকার তাছাড়া ডাকযোগের দলিল পাঠানোর জন্য ক্রেতার কাছে কত টাকা নেওয়া যেতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে ডাকযোগে দলিল পাঠানোর খরচ বা পোস্টাল চার্জ ক্রেতার কাছে বাড়তি বোঝা না হয়ে পড়ে। তবে পরবর্তী সময় এই প্রকল্প চালু হলে কত খরচ দিতে হবে দলিল পাওয়ার জন্য সেটি অবশ্যই রাজ্যের ডিরেক্টরেট অব রেজিস্ট্রেশন এন্ড স্টাম্প রেভিনিউ (directorate of registration and stamp revenue) দপ্তর থেকে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই জানতে পারবেন।
চাকরির খবর: work from Home Job বাড়িতে বসে কাজ করুন বেতন ১৫ হাজার টাকা
আধিকারিকের কথায় এই ব্যবস্থা গোটা রাজ্যে পুরোদমে চালু হয়ে গেলে ক্রেতাকে বারবার রেজিস্ট্রি অফিসে আসতে হবে না। শুধুমাত্র রেজিস্ট্রি করার সময় একবার রেজিস্ট্রি অফিসে আসলেই হবে।