পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে গ্রুপ ডি নিয়োগের একাধিক নিয়োগ দুর্নীতির কথা সামনে এসেছে বরং বর। আর এবার পঞ্চায়েতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির বড়সড়ো ছবির সামনে উঠে এলো।
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় পঞ্চায়েত কর্মী এবং সহায়িকা নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৮ সালে। তারপরেও দীর্ঘ পাঁচ বছর হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো কর্মীকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পরীক্ষার এক লক্ষ খাতা গায়েব হয়ে গিয়েছে।
২০১৮ সালে মুর্শিদাবাদ পঞ্চায়েতে মোট ১৫৭ টি শুন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। আর সে মতো মোট এক লক্ষ চাকুরী প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ২০২১ সালে হাইকোর্টে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য জানিয়েছে এক লাখ খাতায় নাকি হারিয়ে গিয়েছে। আর এই এত বড় সংখ্যায় খাতা হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি নিয়েই ডিভিশন বেঞ্চ বিস্তৃত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক যোগ্যতায় চাকরি।
আর এর পরেই হাইকোর্টের বক্তব্য হারিয়ে গেলে সেগুলো আর ফিরে পাওয়া যাবে না কারণ এখন যে কোন পরীক্ষার সব কপি অন্য কোন এজেন্সির হাতে থাকে। তাদের কাছ থেকে যদি সেগুলো হারিয়ে যায় তবে সেটি পাওয়া খুব মুশকিল। তবে কিভাবে এই খাতাগুলো হারালো কাদের দায়িত্বে এগুলি ছিল সেটি দেখা প্রয়োজন।
আর এর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় চার সপ্তাহ টাইম দিয়েছেন এর মধ্যেই হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে সব তথ্য জানাতে হবে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিব কে। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ১ লাখ উত্তরপত্র খাতা হারিয়ে যাওয়ার কথা শুনে বিস্তৃত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যের সরকারি প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ আবেদন চলছে।
📌 পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩।
বিরোধীরা বলছেন ২০১৮ সালে হয়েছে পরীক্ষা আর ২০২৩ এ এসে খাতা হারিয়ে গেল? এর পেছনেও কত বড় দুর্নীতির হাত রয়েছে। একটি পরীক্ষার এক লক্ষ মোট পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন আর এক লক্ষ সম্পূর্ণ খাতা কিভাবে গায়েব হয়ে যেতে পারে।
তাই এই নিয়োগ নিয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে কলকাতা হাইকোর্টে কোন নথিপত্র পেশ করেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট কি রায় দেয় সেটি আমাদের দেখার বিষয় রয়েছে।
তাই আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অবশ্যই জয়েন হয়ে থাকুন।
More Job News: Click here