পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে এবার আরও সংরক্ষণের সুবিধা পেতে চলেছেন রাজ্যের চাকুরি প্রার্থীরা। যদি আপনি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অধীনে সিভিক ভলেন্টিয়ার এর কাজ করছেন তবে এবার আপনার জন্য অত্যন্ত খুশির খবর। পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে অনেক সময় বিতর্ক উঠে কখনো মানুষ তাদেরকে হেনেস্থা করে আবার কখনো তোলাবাজি করা বা সরাসরি শাসক দলের ক্যাডার হিসেবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে অনেক সিভিক ভলেন্টিয়ার এর বিরুদ্ধে।
পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের যোগ্যতা থাকলে তাদেরকে রাজ্য পুলিশে নিয়োগের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে রাজ্যের নিয়ম মেনে দশ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা পেয়ে থাকেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। আর এবার এই সংরক্ষণের সংখ্যাটা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। শুধু সংরক্ষণ বৃদ্ধি নয় এর সাথে সাথে বয়স্কদের ক্ষেত্রেও উর্ধ্বসীমাতে যাতে বৃদ্ধি করা যায় তার জন্যেও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী আপাতত রাজ্যের শীর্ষ মহলের কাছে পৌঁছে গেছে এই প্রস্তাব। আর এই প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এই প্রস্তাব অনুযায়ী এবার 10 শতাংশ সংরক্ষণ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এবং বয়সের ঊর্ধ্বসীমা 30 থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার কথা বলা হয়েছ।
এর আগেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। প্রায় ১২ হাজার শুন্য পদে কনস্টেবল নিয়োগ হবে আর এই নিয়োগের আগেই তাদের এই প্রস্তাব মন্ত্রীসভায় পেশ হতে পারে। পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্যে বর্তমানে প্রায় দেড় লক্ষ সিভিক ভলেন্টিয়ার কর্মরত রয়েছে। বয়স সীমা এবং সংরক্ষণের পরিমাণ যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে তাদের অনেকেই পুলিশে পাকা চাকরি পেতে পারে।
তবে রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করছেন। অনেকে মনে করছেন রাজ্য পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ারের সংখ্যায় যদি বৃদ্ধি পায় তবে তাদের নিরপেক্ষতা সঠিক থাকবে কিনা। তবে তাদের এই এই কথার পাল্টা যুক্তি, স্থায়ী পুলিশকর্মীর অভাবে রাজ্য পুলিশের বহু থানা কার্যত সেভিক ভলেন্টিয়ার নির্ভর হয়ে রয়েছে। তাহলে সিভিক ভলেন্টিয়ার রা পুলিশের অনেক কাজের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল রয়েছে। এই অবস্থায় যদি কোন সিভিক রাজ্য পুলিশে চাকরি পায় তবে সদ্য চাকরি পাওয়া কর্মীদের থেকে তাদের দক্ষতা বেশি হবে।