আবার বিনামূল্যে রেশন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা
উৎসবের মরসুমে মোদী সরকারের বড় সিধান্ত। কেন্দ্র বিনামুল্যে রেশন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েছে। আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত বিনামূল্যে চাল পাবে দেশের গরীব মানুষ। আগামীকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশের একটি বিরাট অংশ রেশন ব্যবস্থার উপর ব্যপকভাবে নির্ভরশীল। বিশেষত যে সমস্ত মানুষ দিন আনে দিন খায়, সেই সব মানুষের কাছে চাল ডাল পৌঁছে দিতে সরকার এই রেশন ব্যবস্থা চালু করেছে। ষষ্ঠীর দিন সেই সব মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে বড় উপহার দিল মোদী সরকার। বিনামূল্যে রেশন প্রদানের সময়সীমা আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যান যোজনা এবং অন্যান্য কল্যানমূলক প্রকল্পের অধীনে জুলাই ২০২৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত বিনামূল্যে সুরক্ষিত চাল সরবরাহ চালু রাখার অনুমোদন দিয়েছে। বুধবার অর্থাৎ গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করছে।
আরও পড়ুনঃ বাড়িতে বসে কাজ করে প্রতিমাসে 10 থেকে 15 হাজার টাকা আয় করুন।
দেশের ৮০ কোটির বেশি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পেয়ে থাকেন। গত বছরের ২৯শে নভেম্বর সরকার ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা (PMGKAY) এর মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর ঘোষণা করেছিল। এবার গতকাল পুষ্টিকর চাল সরবরাহ অব্যাহত রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, কেন্দ্র আগামী পাঁচ বছর বিনামূল্যএ সুরক্ষিত চাল সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। উন্নয়নের প্রচার ও পুষ্টি সুরক্ষা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে অ্যানিমিয়া এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি কমবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র ১৭,০৮২ কোটি টাকা ব্যয় করবে।
আরও পড়ুনঃ বর্তমানে কোন কোন চাকরির দরখাস্ত চলছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের কাছে যাতে সঠিক ভাবে চাল পৌছায়, তার জন্য একটি শক্তিশালী সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করবে কেন্দ্র। চালের গুনমান বজায় রাখতে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৫২টি ল্যাবরেটরি তৈরি করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, NFHS-5 এর সার্ভে অনুসারে, ভারতের একটি বড় সমস্যা অ্যানিমিয়া। পুষ্টিকর চাল সরবরাহ করলে এই সমস্যা অনেকটা কমবে। ২০২২ সালের এপ্রিলে, CCEA ২০২৪ সালের মধ্যে চাল ফোর্টিফিকেশনের উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্য গ্রহন করেছিল। এখনও পর্যন্ত তিনটি ধাপে তা সাফল্য লাভ করেছে।
আরও পড়ুনঃ বাড়িতে বসে চাকরি করুন ইচ্ছে মত চাকরি এখানে খুঁজে নিন।