বাংলার কৃষকদের জন্য আবার সুখবর দিল রাজ্য সরকার। বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে আবার নতুন আবেদন শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলার কৃষকরা এই খারিফ মৌসুমের ফসলের জন্য বাংলা শস্য বিমার আবেদন করতে পারবেন। ফসলের ক্ষতিপূরণ হলে খুব সহজেই এই বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে আপনার ফজলের ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন। তবে এর জন্য কিছু সরকারি শর্তাবলী রয়েছে যেগুলি নিচে ভালোভাবে জেনে নিন।
কি রকম ক্ষতি হলে ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়া যায়
পশ্চিমবঙ্গ কৃষি দপ্তর থেকে যেকোনো ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আগে সেই ফসলের কি ধরনের ক্ষতি হয়েছে সেটা যাচাই করা হয়, নিকটবর্তী কৃষি অধিকর্তার দেওয়া তথ্য, এবং স্যাটেলাইটের তথ্য, কতটা বৃষ্টি হয়েছে তার তথ্য অনুযায়ী। এগুলি মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ক্ষতি: অনেক সময় দেখা যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন শিলাবৃষ্টি, অতিরিক্ত বর্ষণ হওয়া, ভূমিধস, কোন এলাকা প্লাবলিত হয়ে যাওয়া, মাঠে অতিরিক্ত জল জমে যাওয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকে এই সমস্ত ফসলের যদি বীমা করানো থাকে তাহলে সরকার সর্বাধিক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে।
ফসল বপণে বিফল: ফসল বপনের পরে যদি নির্দিষ্ট কোন এলাকার ফসল ন্যূনতম ৫০ শতাংশ এরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে সেই এলাকার কৃষকরা ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে থাকে।
আরও পড়ুন : কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা কবে থেকে দেওয়া হবে এখুনি জেনেনিন।
শস্য বীমার আবেদন ২০২৪ গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলী
বর্তমানে কোন কোন ফসলের বীমার ফর্ম জমা হচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বর্তমানে ধান এবং ভুট্টা এই দুটি ফসলের জন্য শস্য বীমার আবেদন চলছে।
রেজিস্ট্রেশন: প্রত্যেকটা কৃষককে তাদের ফসলের জন্য ইনসুরেন্স বা বীমা করিয়ে রাখা জরুরি। এবং এই আবেদনপত্রের এক কপি প্রতিলিপি নিজের কাছে অবশ্যই রেখে দেবেন। যাতে করে পরবর্তী সময়ে আপনি বীমার প্রিমিয়ামের টাকা স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
কতদিন পর্যন্ত আবেদন চলবে: বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের ধান চাষীদের জন্য বীমা করানোর সময়সীমা 15 সেপ্টেম্বর এবং ভুট্টা চাষীদের ক্ষেত্রে ফসলের বীমা করানোর সময়সীমা। ৩১ শে আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত করা হয়েছে।
বাংলা শস্য বীমা ২০২৪ আবেদন করার গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট সমূহ
নিচের দেওয়া প্রত্যেকটি কাগজের এক কপি করে জেরক্স করে নেবেন।
(১) আবেদনকারী কৃষকের চলতি বছরের ভোটার কার্ড।
(২) কৃষকের আধার কার্ড।
(৩) আবেদনকারী কৃষকের নিজস্ব জমি থাকলে জমির রেকর্ড বা দলিল বা পাট্টা।
(৪) যদি নিজস্ব জমি না থাকে আপনি যে জমি ভাগে নিয়ে চাষ করছেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে Land Possession certificate ফর্ম পূরণ করতে হবে, সেই ফর্ম এর লিংক নিচে দেওয়া হয়েছে। এই ফর্মে নির্দিষ্ট জমির পরিমাণ এবং পঞ্চায়েত প্রধানের শীল স্বাক্ষর সহ জমা দিতে হবে।
(৫) আবেদনকারীর ব্যাংকের পাস বইয়ের জেরক্স।
বাংলা শস্য বীমা ২০২৪ আবেদন পদ্ধতি
বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে রাজ্যজুড়ে প্রত্যেকটা জেলাতে আবেদন শুরু হয়ে গিয়েছে। আপনি আপনার নিকটবর্তী পঞ্চায়েত অফিস বা কৃষি আধিকারিকের অফিসে গিয়ে খোঁজখবর নিলে সেখানেই সবকিছু জানতে পারবেন এবং আবেদন করতে পারবেন।
মনে রাখবেন বাংলা শস্য বীমার আবেদন পত্র যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না জমা দিতে পারেন তাহলে আপনি এই খারিফ মৌসুমের বাংলা শস্য বীমার ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাংলা শস্য বীমার আবেদন অবশ্যই জমা করুন।
আরও পড়ুন : কৃষকবন্ধু আবেদন কিভাবে করবেন ও টাকা পাবেন