অসমে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ঘরছাড়া হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। অসমের ১১ টি জেলার লক্ষাধিক মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছে এই বন্যার প্রভাবে। সরকারি আধিকারিক সূত্রে জানা যাচ্ছে ২৮ই মে থেকে শনিবার পর্যন্ত এই বন্যার জন্য রাজ্যে মারা গিয়েছে ১৫ জন মানুষ। এছাড়া এই বন্যার কবলে পড়েছে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে শনিবার হায়লাকান্দি, কাছার এবং করিমগঞ্জ জেলায় একজন করে ৩টি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই এলাকায় কোপিলী, বরাক এবং কুশিয়ারা এই তিনটি নদীর জল বইছে একদম বিপদ সীমার উপর দিয়ে। এতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নগাঁও জেলা। জানা যাচ্ছে এই জেলাতে ২ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৪৫ জন মানুষ বিপদের মুখে পড়ে রয়েছে। এছাড়া হোজাইতে ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৮১৩ জন এই বর্ণের কবলে।
কাছারে ঘরবাড়ি, জমির ফসল, সহ নিজের সম্পত্তি হারিয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ১২ হাজার ২৬৫ জন মানুষ। এখনো পর্যন্ত প্রশাসনিক সূত্রে যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে তার হিসেব অনুযায়ী ৪১ হাজার ৫৪৬ জন ঘরছাড়া হয়েছে। আর এই সমস্ত ঘর ছাড়া মানুষগুলি আশ্রয় নিয়েছে অসমের ১৮৭ টি ত্রাণ শিবিরে।
চাকরির খবর পড়ুন: জেলা জর্জ কোর্টে গ্রুপ ডি পিয়ন নাইট গার্ড সহ অফিসের স্টাফ নিয়োগ।
জানা যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাস্তা এবং রেললাইনে জল জমে গিয়েছে। আর এর ফলে উদ্ধার কাজেও যথেষ্ট বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে অসম পুলিশ এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। তবে যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ৯৬৬ জনকে ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে। এছাড়াও ৮৯ টি প্রাণীকেও তারা উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়েছে।
চাকরির খবর পড়ুন: ক্লিক করুন