লকডাউন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্কুলে কিন্তু শিক্ষার অবস্থা একেবারে নাজেহাল। এই অবস্থায় ঠিকঠাকভাবে শিক্ষা দিতে পারছেন না শিক্ষকরা ,কেউ অনলাইনে শিক্ষার ব্যবস্থা করছেন তো কেউ অফলাইনে কিন্তু অনলাইনে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, একাধিক জায়গাতেই কিন্তু অনেক ছাত্র-ছাত্রী অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে । সেক্ষেত্রে কিন্তু ক্লাস ঠিকঠাকভাবে সকলের কাছে পৌঁছাতে পারছে না এবং অনেকেই কিন্তু নিজেদের শ্রেণীর ক্লাস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন এবং নিজেদের ক্লাস ঠিকঠাকভাবে করতে পারছেন না । তাই সিবিএসই ঠিক করেছে যে তাদের সিলেবাস 30 শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেওয়া হবে 2020-21 শিক্ষাবর্ষে। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক এর নির্দেশ অনুযায়ী সিবিএসই বোর্ডের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। শিক্ষার মান ঠিকঠাক রেখে ও ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে 30% সিলেবাস কমিয়ে দেয়া হয়েছে। কারণ অনেকেরই কিন্তু এতে সুবিধা হবে । বিভিন্ন অভিভাবক এবং ওয়াকিবহাল কমিটির সাথে আলোচনা করার পরে কিন্তু মন্ত্রী রমেশ পক্রিয়াল এই নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তার নির্দেশ অনুযায়ী সিবিএসই বোর্ডের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। এ ব্যাপারে বিভিন্ন শিক্ষক মহল এবং বিভিন্ন স্কুলের সাথে তাদের আলোচনা হয়েছে এবং তাদেরকে জানানো হয়েছে যে 30% সিলেবাস কমানো হয়েছে সিবিএসসি বোর্ডের তরফ থেকে এবং তাদেরকে বছরের শেষে কোনরকম পরীক্ষার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক কিছু কথা এখনো পর্যন্ত সিবিএসই বোর্ডের তরফ থেকে বলা হয়নি। যেগুলো বাদ পরলো:-
দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান: ১. আঞ্চলিক আকাঙ্ক্ষা, ২. সামাজিক এবং নয়া সামাজিক আন্দোলন, ৩. পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ, ৪. পরিকল্পিত উন্নয়ন (যোজনা কমিশন ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা), ৫. ভারতের বিদেশ নীতি (প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক )
তাদের মতে যে সমস্ত তথ্য গুলি সিলভাস থেকে বাদ পড়ে গেছে সে সমস্ত তথ্য গুলি বা চ্যাপ্টারগুলো যদি ছাত্র-ছাত্রীদের বুঝতে অসুবিধা হয় সেক্ষেত্রে শিক্ষকদেরকে সমস্ত বিষয়গুলি বুঝিয়ে দিতে হবে । কিন্তু তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছে এ সমস্ত সিলেবাসে বাদ দেওয়া হয়েছে সেগুলো কিন্তু বছর শেষে পরীক্ষার ক্ষেত্রে আসবেনা বা সেখান থেকে কোন রকম প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা নেই।
বাদ দেওয়া সিলেবাস গুলি নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন উঠেছে যে এই যে 30% বাদ দিয়ে এই সিলেবাস অনুসারে যারা পড়াশোনা করবে তাদের পরবর্তী সময়ে যে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রবেশিকা পরীক্ষা গুলি হবে বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাগুলি হবে তাদের কে কি কোন রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না? , বা তখন কি এই পাঠক্রমের উপরে পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
আপডেট হওয়া পাঠ্যক্রম অনুসারে, দশম শ্রেণির সিলেবাস থেকে মুছে ফেলা অধ্যায়গুলির মধ্যে গণতন্ত্র এবং বৈচিত্র্য, লিঙ্গ, ধর্ম এবং বর্ণ, জনপ্রিয় সংগ্রাম এবং আন্দোলন, গণতন্ত্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। 11 ম শ্রেণীর জন্য, মুছে ফেলা অংশগুলিতে ফেডারালিজম, নাগরিকত্ব, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, ভারতে স্থানীয় সরকারগুলির বিকাশ সম্পর্কিত অধ্যায়গুলি অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই সিদ্ধান্তের ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল টুইট করেছেন, “দেশ ও বিশ্বে বিরাজমান এই পরিস্থিতি দেখে সিবিএসইকে পাঠ্যক্রমটি সংশোধন এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোর্সের বোঝা হ্রাস করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।” তিনি আরও বলেছেন
সিদ্ধান্ত টিতে সহায়তা করতে কয়েক সপ্তাহ আগে আমি সিলেবাস হ্রাস সম্পর্কে সমস্ত শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে পরামর্শও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম এবং আমি খুশী হয়েছি যে 1.5k এরও বেশি প্রস্তাব পেয়েছি। এইভাবে অপ্রতিরোধ্য সাড়া পাওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।